টিম মকটেল

 



                                                               

স্বস্তিক নিয়োগী

হেভিওয়েট চেহারা দেখেই বুঝবেন নির্ঘাত প্রকাশক মানুষ। মকটেল এত ঝুঁকি নিতে পারে, সেই সাফল্যের পিছনে অবদান স্বস্তিক প্রকাশনী। বিজ্ঞাপনের দায়িত্ব প্রায় একার কাঁধে বয়ে নিয়ে এসেছেন এতকাল। খেলা নিয়ে দু'কলম পাঠক পড়েছেন এর আগে মকটেলের প্রথম দিকের সংখ্যায়। তবে বেতন তিনি দিতে চান না, এই কমন অভিযোগ শোনা যায় মকটেলের অন্দরমহলে কর্মীবৃন্দের মধ্যে।


     


 রক্তিম ভট্টাচার্য

নাম তো শুনাহি হোগা! না শুনলে জেনে নিন, মকটেলের সর্বাধিনায়ক। মকটেল আদি থেকে অন্ত যাঁর উপর নির্ভরশীল। একমেবাদ্বিতীয়ম। একাই ইন্ডাস্ট্রি। এখন সেলিব্রেটি লেখক হয়ে চারদিকে নাম ও খাম (?) কামাচ্ছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত মকটেলের থেকে এক পয়সাও দাবি করেননি।




                                                           

অর্কপ্রভ ভট্টাচার্য

মকটেল টিমের একাধারে গেজেটেড অফিসার, অন্যধারে গ্রুপ ডি কর্মচারী। প্রত্যেকবার মকটেল যে নানারূপ উটকো বিষয় নিয়ে সংখ্যা করতে গিয়ে ফেঁসে যায়, তাঁর জন্য প্রধান দায়ী। পরিকল্পনা থেকে প্রেসে ছোটাছুটি, অন্য সদস্যদের তিতিবিরক্ত করতে করতে রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছেন সবার কাছে। বহু পত্রিকায় কবিতা বিভাগে জ্বলজ্বল করে নাম, অথচ, তিনি নিজেকে ‘কবি’ বলতে চান না। মকটেল যে শেষ অবধি এখনও অনিয়মিতভাবে নিয়মিত, তা এঁকে ছাড়া সম্ভব হতো না।








অভিনব সরকার

মকটেলের নামদাতা। এছাড়াও বহু বিভাগের নামকরণ ওঁর মগজ থেকেই বেরিয়েছে। ‘রুহান’ ছদ্মনামে মকটেলের 'অতিপ্রাসঙ্গিক' কলামের লেখক। একগাল দাড়ি ভারী চশমা, প্রকৃত লেখকের অনেক গুণ থাকা সত্ত্বেও লেখা তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। নিন্দুকেরা বলে, মকটেল ছাড়া অন্য কোথাও লিখতে তাঁর আপত্তি আছে।






                         

 প্রীতম কর্মকার

মকটেলের ছবিওলা। তাছাড়াও, ছবি তোলার মারকাটারি শখ। মকটেলের খাদ্য দপ্তরও যৌথভাবে সামলান। অরিজিত সিংয়ের ভক্ত। চলতে ফিরতে মাঝেমধ্যেই শুনতে পাবেন খালি গলার গুনগুন গান। কোনও লিটল ম্যাগাজিন মেলায় মকটেল-এর দেখা মিললেই ওঁর দু’চাকা আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে যায় নির্দ্বিধায়। আমাদের দলের প্রকৃত ব্যবসায়ী।








আদিত্য ভট্টাচার্য

সবসময়ে চনমনে, হাশিখুশি, মিশুকে ছেলে। দেখতে কিছুটা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিল পাবেন। ডাকনাম আদি। টুকটাক কবিতা লিখতেন। ইদানিং সেটাও খুব দেখা যাচ্ছে না। মহিলা ভক্ত অগুনতি। লেখায় সুর দেওয়ার একটা ঝোঁক অল্প বয়স থেকেই আছে। মেলার মাঠে কোনও একটা দিন আদিত্যবাবুর উপস্থিতি রীতিমতো ট্রেডমার্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে শরীরচর্চায় মন দিয়ে মকটেলকেও স্বাস্থ্যবান করে তোলার কথা ভাবছেন।






শুভ বণিক

মকটেলের আর্ট ডিপার্টমেন্ট যাঁর উপর দাঁড়িয়ে। মকটেলকে সুশ্রী ও কুশ্রী দেখার পিছনে অনেকটাই  তাঁর অবদান। আর্ট কলেজের ছাত্র। যদিও ওঁর শিল্প-ধারণা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতন নয়। মকটেলের সবথেকে ক্রিয়েটিভ লড়কা। ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি তিনটে ভাষাতেই গল্প লিখেছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, মকটেলের আগামী কোনও এক সংখ্যাতে লিখতে পারে। আপনারা ওকে খোঁচাবেন আরও লেখার জন্য।








শ্রীলেখা মুখার্জী



মকটেল যে নারীবিদ্বেষী নয় - তার প্রমাণ । শ্রীলেখা মকটেল নারীবাহিনীর নেত্রী। পেশায় কর্পোরেট চাকুরিজীবী। ভুলবশত বা সঙ্গদোষে মকটেলে ঢুকে পড়েছেন। হ্যারি পটারের ভক্ত। শোনা যায়, সিকিমে গিয়ে বিখ্যাত হয়েছেন পাঠকমহলের কাছে।







অয়না সাহা



ডিজিটাল বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করছেন একাই। আমাদের ওয়েবসাইটের স্বপ্ন-বাস্তবায়ন অয়নাকে ছাড়া সম্ভব হত না। এর জন্য অনেক ভালোবাসা মকটেল টিমের তরফ থেকে, কেন না, বেতন দেওয়ার মতন অর্থ রাজকোষে নেই।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ